সংখ্যাত্মক ও গুণাত্মক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণায় সংখ্যাত্মক ও গুণাত্মক পদ্ধতির বহুলব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। গবেষণার বিষয়, ধরন, বৈশিষ্ট্য, তথ্যের পর্যাপ্ততা, গবেষকের দক্ষতা, সময়, অর্থ ইত্যাদি বিবেচনা করে পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। মোটাদাগে সংখ্যাত্মক পদ্ধতিকে পরিসংখ্যানমূলক এবং গুণাত্মক পদ্ধতিকে বর্ণনামূলক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে মনে করা হয়। বস্তুত সামাজিক গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের কৌশল এবং তথ্যের ধরন, প্রকৃতি ও পরিমাণ বিবেচনা করে সংখ্যাত্মক ও হক পদ্ধতি নিরুপণ করা হ
সংখ্যাত্মক পদ্ধতি
সংঘাত্মক বেষণায় বিভিন্ন চলকের মধ্যেকার সম্পর্ক নির্ণয়ের মাধ্যমে তত্ত্বীয় অনুসিদ্ধান্ত পরীক্ষা করা হয়। এ পদ্ধতিতে ঘটনার সাধারণীকরণ করা হয় চলকের মাধ্যমে। তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে। সংখ্যাত্মক পদ্ধতিতে পরিসংখ্যানিক উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়। সংখ্যাত্মক পদ্ধতির কতিপয় দৃষ্টিভঙ্গি (Approach) রয়েছে তা হলো বিভিন্ন ধরনের জরিপ (Survey), প্রশ্নমালা জরিপ বা সাক্ষাৎকার (Questionnaire Survey or Interview), সহ-সম্পর্ক (Correlation) তা বিশ্লেষণ (Trend Analysis) ইতাদি।
সংখ্যাত্মক পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যাবলি সাধ পদ্ধতির বৈশিষ্টা নি
১ সংখ্যাত্মক পদ্ধতিতে চলকভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
২। এ পদ্ধতিতে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা, যথার্থতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা হয়; ৩। সংখ্যাত্মক পদ্ধতিতে সমগ্রকের পরিমাণ অধিক হলে লেখচিত্রের মাধ্যমে এর পরিসংখ্যানিক
প্রকাশ করা হয়,
* আলেখ প্রভৃতির সাহায্যে তথ্য বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন সংখ্যাত্মক পদ্ধতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য:
৫. সংখ্যা পদ্ধতিতে গবেষক নির্দিষ্ট বিষয়ে পুনরায় গবেষণার সুযোগ পান।
৬। এ পদ্ধতিতে তথ্যের ভিত্তিতে ফলাফল যাচাই করে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদানের সুযোগ রয়েছে,
1 আধুনিক কৌশল প্রয়োগ করে মাঠ পর্যায় থেকে প্রাথমিক তথ্য (Primary data) সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করার যায় ।।
সংখ্যাত্মক পদ্ধতির সুবিধাবলি
সংখ্যাত্মক পদ্ধতির কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন: ক) সংখ্যাত্মক পদ্ধতির সাহায্যে গবেষণায় সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পাওয়া যায়, দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায়, গ) তথ্য বিশ্লেষণে অপেক্ষাকৃত কম সময় না হয়, খ) বৃহৎ সমর্থক নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায়, ৩) গবেষক স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পান, চ) গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের সাধারণীকরণ করা যায়, হু) এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা তুলনামূলকভাবে বেশি জ) প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়।
Comments
Post a Comment